Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মাটিয়াল জমিতে কচু চাষের ঝুকছে কৃষ
বিস্তারিত

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মাটিয়াল জমিতে কচু চাষে ঝুকছে কৃষকেরা। উপজেলার ধান আবাদী মাঠে মাঠে পরিত্যক্ত ভিটা ও ডোবায় লতিরাজ মুখি কচু মান কচু চাষ করে কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটতে চলছে। অল্প পরিশ্রম আর অল্প খরচে দিগুন লাভ পাচ্ছেন কচু আবাদ চাষীরা। এই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রায় শতাধিক কৃষক কচুর আবাদ করছেন। ইতি মধ্যে লতিরাজ ও মুখি কচু বাজারে চাহিদা বেড়েছে। জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে কৃষিতে মিশে আছে কৃষকরা শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত ও এই উপজেলায় ধান চাষের পাশাপাশি কৃষকেরা মৌসুমী সাক সবজি উপাদন করে। করে আর্থিক স্বচ্ছলতাকে দুর করেছেন এই বছর চাষিরা নতুন করে মাটিয়াল জমিতে কচু চাষে মনযোগ দিয়েছেন এই চাষে তুলনা মুলক রোগ বালাই কম, অল্প খরচে দিগুন লাভ। উৎপাদনও বেশি হয়ে থাকে। গতকাল বুধবার স্বরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রত্যেকটি ইউনিয়নের কচু চাষ হচ্ছে। সাবাজপুর, বড়বাড়ী, দোগাছী, চাড়োল, ধনতলা,পাড়িয়া, আমজানখোর, ভানোর, দুওসুও, বড়পলাশবাড়ী, হরিণমারী এসব গ্রামে কচু চাষ বেশি। চাষিরা এখনও কচু তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা অনেক সময় ক্ষেত সহ পাইকারদের নিকট বিক্রি করে এক একটি লতা রাজ কচুর দাম হাট বাজারে আকারে ভেদে ১৫-৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। মুখি কচু ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রয় করা হচ্ছে। কৃষি অফিস জানিনেছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রতিটি এলাকার মাটির গুনাগুন বিচারে কচু চাষের উপযোগী। কচু চাষের জন্য প্রথমে ভালভাবে চাষ দিয়ে গোবর ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে জমি প্রস্ত্তত করতে হয়, বীজ তলা তৈরী হলে এক হাত পর পর চারা রোপন করতে হয়। কার্তিক চৈত্র ও বৈশাখ মাস থেকে এই চাষ শুরু হয় এটেল মাটিতে লতিরাজ কচুর চাষ ভালো হয়। এই কচু মহিলাদের জন্য জনপ্রিয় সবজি। এটি স্বাদে অতুলনীয়, পুস্পমান ও রয়েছে। এর পাতা শাক হিসেবে ফুল পোপা লতি, বাকল, কদন, সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন এক সবজি যার কোন অংশই ফেলে দেওয়া নয়। কচুশাক খেলে ভিটামিন এ এর অভাব অনেক অংশে পুরণ হয়। কচুতে প্রচুর আয়রন থাকায় এর পুষ্টিগুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যাধিক বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস। কৃষকরা দাবী করে বলেন কৃষি বিভাগ ও প্রশিক্ষণ ও সহ শর্তে ঋণ  প্রদানের ব্যবস্থা করলে বেশি জমিতে কচু চাষ বাড়বে। কৃষকরা জানায় প্রত্যেকই পৃথক পৃথক ভাবে মাটিয়াল জমিতে ২২ শতক থেকে ৭০ শতক পর্যন্ত কচুর আবাদ করছেন। ঠিকমত পরিচর্যা করতে পারলে কখনও লোকসানের চিন্তা মাথায় আনতে হবে না। এপ্রসঙ্গে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন উপজেলার কচু পুষ্টিমানে অতুলনীয়। কৃষি অফিস থেকে রোগ বালাই দমনে কচু চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারি প্রণোদনা কিংবা ঋণের ব্যবস্থা হলে এ চাষে সফলতা আসবে।

ছবি
ছবি
ডাউনলোড