মজিবর রহমান শেখ, বালিয়াডাঙ্গী(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার সাথে সাথেই আইন বাড়াই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চুন শিল্পের সাথে জড়িত কারিগররা নিজেদের প্রচীন পেশা বিলুপ্তির পথে। এই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়রয়েছে চুন শিল্পের বহু সংখ্যক কারিগররের বাস। স্থানীয় ভাবে তাদের বলা হয় জুগী। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে জীবনের কঠিন সংগ্রামে টিকতে না পেরে বাপ দাদার পেশা থেকে পেরিয়ে আসেত্ম মরিয়া হয়ে উঠেছেন এসব মানুষ। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যÿআলমগীর এই সর্ম্পকে বলেন পানের সাথে একটু চুন অপরিহার্য। আর এই দেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবেই পান খেয়ে থাকেন সাথে লাগে চুন। তিনি আরও বলেন কিন্তু এই চুন শিল্পের কারিগররা নিজ পেশা টিকিয়ে রাখতে এখন হিম সিম খাচ্ছে। চুন তৈরীর কাচামাল ঝিনুক হাতে জলাশয়গুলোতে না পাওয়ায় এবং পাথর চুনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়া সহ নানা প্রতিকুলতায় পূর্ব পুরম্নষের বদলাতে তারা আজ মরিয়া হয়ে উঠে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলারবিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন চুন শিল্পের কারিগররা। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের ১২টি পরিবার বাপ দাদার পেশা চুন তৈরীর সাথে জড়িত তবে আর্থিক দীন তায় তাদের জীবন আজ অনেকটাই থমকে গেছে এই পাড়ার বাসিন্দা চুন তৈরীর কারিগর কলকটু বলেন পান খেয়ে চুন লাগে এটা সবাই জানে এই চুন তৈরীর প্রধান উপাদান হল ঝিনুক। বাপ দাদার সময় থেকেই চুন তৈরীর কাজ করে আসছেন বর্তমানে এলাকার খাল বিল নদী নালায় ঝিনুক না পাওয়ায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলারবিভিন্ন স্থান থেকে ঝিনুক কিনে আনতে হয় ফলে উৎপাদনের খরচ বেড়ে যায়। চুনের বর্তমান বাজার দর প্রতিমন ৪৮০/-। লোকসান সামলাতে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। চাড়োল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হায়াত নূরন্নবী বলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার যেসব প্রচীন পেশা রয়েছে তার মধ্যে জুগীরা অন্যতম তবে এখন এ শিল্প হারাতে বসেছে। এই পেশায় সনাক্তদের পূর্ণ বাসনের উদ্যোগের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপÿÿর দৃষ্টি কামনা করেন।
মজিবর রহমান শেখ,
বালিয়াডাঙ্গী(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
০১৭১৭৫৯০৪৪৪
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস