জাপানি নাগরিক হত্যার ঘটনার পর শনিবার বিকেলে রংপুর বিএনপির দুই নেতাকে পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যাঁদের তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা হলেন মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ-উন-নবী ওরফে বিপ্লব ও রংপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান ওরফে লাকু।
রাশেদ-উন-নবী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব-উন-নবী সোহেলের ছোট ভাই। তবে এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে পাঠানো বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে রংপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ‘আনিসুল হক’।
রাশেদ-উন-নবীর স্ত্রী রেজানা বেগম বলেন, শহরের গুপ্তপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে আজ বিকেলে সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে একদল লোক তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। একই অভিযোগ আনিসুরের স্ত্রী শিরিন আক্তারেরও। শিরিনের দাবি, আনিসুরকে শহরের নূরপুরের বাসা নিজ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে এই দুই নেতাকে আটক কিংবা ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম।
এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ রাতে এক বিবৃতিতে দলটির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন অবিলম্বে ওই দুই নেতার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন। বিবৃতিতে রিপন বলেন, অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুম, অপহরণ, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ক্ষমতাসীনরা মনে করছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে। কিন্তু এই স্বপ্ন কোনো দিন পূরণ হবে না।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস