Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বালিয়াডাঙ্গীতে ইদুল আযহা কে সামনে রেখে কামারদের ব্যসত্মতা বেড়েছে
বিস্তারিত

ছবিযুক্ত-১

বালিয়াডাঙ্গীতে ইদুল আযহা কে সামনে রেখে কামারদের ব্যসত্মতা বেড়েছে

মজিবর রহমান শেখ, বালিয়াডাঙ্গী(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় গ্রামীণ প্রাচীণতম ঐতিহ্যবাহী কামার শিল্প নানা সংকটে আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, কারিগরদের মজুরী বৃদ্ধি তৈরী পণ্য সামগ্রী বিক্রয় মূল্য কম, কয়লার মূল্য বৃদ্ধি। বিদেশ থেকে বড় বড় ব্যবসায়ীদের স্টীল সামগ্রী আমদানী সহ চরম আর্থিক সংকট ও উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা কম থাকাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কামার শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে কিন্তু ইদুল আযহাকে সামনে রেখে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কামাররা দেশী প্রযৃুক্তি দা, কুড়াল, বেকি, খুসত্মা ও কাটারী বানাতে বেশ উৎসব মুখর ব্যসত্ম সময় কাটাচ্ছে। হাট বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় ইতি মধ্যেই গ্রামের লোকজন গরম্ন মহিষ ছাগল জবাই ও মাংস তৈরীর কাজের জন্য কামারীদের কাছে প্রয়োজনীয় ধারালো দেশী তৈরী চাকু বটি, কাটারী ও ছুরি তৈরীর আগাম অর্ডার দেওয়া শুরম্ন করায় কামার শিল্প গুলোতে টুংটুং শব্দে এখন মুখরীত। আধুনিকতার উৎকর্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে নানা বিধ সমস্যার কারণে ধিরে ধিরে হারিয়ে যেতে বসেছে হাজার বছরের গ্রাম বাংলার মানুষের প্রিয় শিল্পটি। এক সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় অধ্য শতাধিক কর্মকার পরিবার থাকলেও তাদের তৈরী পন্য সামগ্রী প্রযুক্তি ছোয়ার কাছে টিকে থাকতে না পারায় বেশ কিছু পরিবার তাদের পৈতৃক পেশা  ছেরে পরিবারের অভাব অনটন ও চাহিদার তাগিদে লাভজনক অন্য পেশায় চলে গেছে। বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ভান্ডারদহ, বড়বাড়ী দোগাছি, পাড়িয়া, হলদিবাড়ী সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায়৩০টি পরিবারের কর্মকাররা তাদের পৈতৃক পেশা অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে হলেও দু মুঠো ভাতের আশায় এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী হাট মরল হাট, স্কুলের হাট, বাদামবাড়ী হাট, কুশলডাঙ্গী হাট, হলদিবাড়ী হাট, ধনির হাট, কালমেঘ হাট, দোগাছির হাট, দোলুয়া হাট, পাড়িয়া হাট, ক্যাম্পের হাট, আঘার দিঘির হাট, হরিণমারী হাট, লোহাগাড়া হাট, বটতলী হাট, খোচাবাড়ী হাট, লাহিড়ীর হাট বালিয়াডাঙ্গী হাট, ডাঙ্গীর হাটসহ প্রতিটি হাট বাজারে ইদুল আযহাকে সামনে রেখে কামার কারিগররা সারা বছরের তুলনায় বর্তমানে দিনরাত ব্যসত্ম সময় কাটাচ্ছে এখানকার কামারদের নিপুণ হাতে তৈরী বটি, ছুরি, কাটারী, দা, পেটি, কুড়াল ও লাঙ্গলের ফলা সহ বিভিন্ন ধরনের যাবতীয় প্রয়োজনীয় লৌহাজাত দ্রব্য তৈরী করেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ভান্ডারদহ গ্রামের কর্মকার চুকু কর্মকার(৬০) ৪৫ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে জড়িত। চুৃকু কর্মকারের এক ছেলে এক মেয়ে ও তার স্ত্রী পরিবারের সদস্য। সে লাহিড়ী বাজারে কর্মকার কারিগরী লোহা পিটিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরী করা তার পেশা। বাপ দাদার পৈতৃক সূত্রে আমি এই পেশায় জড়িত একটি মাঝারী ধরনের দা ও কাটারী তৈরী করে ওজন অনুযায়ী ২৫০-৩০০ পর্যমত্ম বিক্রি করা হয়।

ছবি
ডাউনলোড