শিরোনাম
নারীবান্ধব বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিস্তারিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ও মেয়েদের জন্য একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলা এবং সব ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জনের লক্ষে অঙ্গীকার গ্রহণের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য তার সরকারের দীর্ঘ রাজনীতির অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনীতিক ক্ষমতায়ন এবং মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
রোববার জাতিসংঘ সদর দফতরে জেন্ডার সমতা সংক্রান্ত বিশ্বের নেতৃবৃন্দের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নারীদের জন্য আরো সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি এবং রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সরকারের কর্মকাণ্ডে তাদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবে। খবর বাসসের।
ইউএন এনটিটি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি, এমপাওয়ারমেন্ট অফ উইমেন (ইউএন-উইমেন) এবং চীন যৌথভাবে জেন্ডার সমতা ও নারীদের ক্ষমতায়ন : পদক্ষেপের অঙ্গীকার শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে। এতে বিশ্বনেতারা যোগ দেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, মেক্সিকো ও কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীসহ ১৭টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ আলোচনায় অংশ নেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সর্বস্তরের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। এ প্রসঙ্গে তিনি নারীদের কল্যাণের লক্ষে তার সরকারের কয়েকটি সফল কর্মসূচির উল্লেখ করেন।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা, ছাত্রীদের জন্য বৃত্তি, বিনামূল্যে সন্তান প্রসবপূর্ব ও পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা, সহজ ঋণ সুবিধা, বৃত্তিমূলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ।
তিনি আরো বলেন, সরকার নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষে সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিনামূল্যে ৩২টি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা আমাদের নারী ও মেয়েদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার অনুপ্রেরণা দেওয়ার সুযোগ দেবে। এই সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য ও সহিংসতার অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যেতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা আমাদের নারী ও মেয়েদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করবো।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ বিমোচনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। আমরা মায়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া অব্যাহত রাখবে। আমরা শিশুদের জন্মলাভের সময় দক্ষ ধাত্রীদের সহায়তার হার বাড়ানোর জন্য কাজ করবো।