Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
পাওয়া যাবে ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা!
বিস্তারিত
 

পৃথিবীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে ভূমিকম্পে। আর এর অন্যতম প্রধান কারণ ভূমিকম্পের কোনো পূর্বাভাস না পাওয়া। গত রোববারই আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতে সংঘটিত ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে প্রায় ৪শত লোকের ।
এর আগে হাইতিতে ২০১০ সালের ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ছিল তিন লাখ ১৬ হাজার। ২০০৪ সালে সুমাত্রায় নিহত হয় দুই লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ। ২০০৮ সালে চীনে মারা যায় ৮৭ হাজারের মতো। পাকিস্তানে ২০০৫ সালে প্রাণ যায় ৮৬ হাজার মানুষের। ২০০১ সালে ভারতে মারা যায় ২০ হাজার আর গত এপ্রিলে নেপালে নিহত হয় আট হাজারের বেশি মানুষ।
আর এ রকম সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি স্টেলার সলিউশনের মানবিক গবেষণা বিভাগ কোয়াক ফাইন্ডার দাবি করছে, তারা ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
কোয়াক ফাইন্ডারের গবেষণা কর্মকর্তা জন পিনয়ু জানান, ভূ-অভ্যন্তরের মাটি সংকুচিত হওয়ার কারণে ব্যাপক তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, যা তাঁদের সেন্সরের চৌম্বক তরঙ্গে এক ধরনের বার্তা দেয়। সঙ্গে ভূপৃষ্ঠে এক ধরনের আয়োনাইজড গ্যাসও নির্গত হয়, যা একটা অন্য সেন্সরের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন তাঁরা। স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও তাঁরা কিছু তথ্য পান।
জন পিনয়ু আরো জানান, এই তিন রকমের তথ্য বিশ্লেষণ করেই তাঁরা এক ধরনের চূড়ান্ত বার্তা পেয়ে যান, যার প্রমাণও তাঁরা অতীতে পেয়েছেন। প্রযুক্তিটি চূড়ান্ত করার কাজ এখনো চলছে বলে জানান তিনি।
কোয়াক ফাইন্ডারের গবেষণা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০৭ সালে এ নিয়ে কাজ শুরুর পর ২০১১ সালের অক্টোবরে ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয় সংস্থাটি। ভূমিকম্প সংঘটনের দুই সপ্তাহ আগে সর্বোচ্চ আটবার সিগন্যাল দিয়েছে তাদের স্থাপন করা ডিভাইস। পেরু, চিলি, সুমাত্রা, তাইওয়ান ও গ্রিসেও এই ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে। এর একেকটি ডিভাইস ২০ বর্গমাইল এলাকার মধ্যে থেকে যাওয়া ভূমিকম্পের আগাম তথ্য দিতে পারে।
তবে পূর্বাভাসের এই প্রযুক্তির বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘এটি আসলে গবেষণা পর্যায়েই আছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অনুমোদনের আগে এসব তথ্য পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য হবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘ফল লাইন যেখানে আছে, তার ওপরে ভূপৃষ্ঠের একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় সেখানে প্লাজমা কণার ঘনত্ব বেড়ে যায়, সেসবের ওপর ভিত্তি করেও এখন ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব বলে বিজ্ঞানীরা মনে করে থাকেন। কিন্তু এটা এখনো এক্সপেরিমেন্ট লেভেলে আছে। কোনো বড় ধরনের পাবলিকেশন বা ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে এখনো এটাকে ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।’
কোয়াক ফাইন্ডারের এ উদ্যোগ গবেষণার যে পর্যায়ে আছে, তাতে তা চূড়ান্ত করতে আরো তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে বলে সংস্থাটির গবেষণা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ছবি
ডাউনলোড