শেল ইকো ম্যারাথন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা। যেখানে বিভিন্ন দেশের ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা গাড়ি ডিজাইন ও তৈরি করে চালাতে হয়।
এই প্রতিযোগিতার আসল উদ্দেশ্য এমন গাড়ি তৈরি করা যেটা, সবচেয়ে কম জ্বালানি ব্যবহার করে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করবে। আর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
অংশ নেয়ার জন্য বুয়েটকে দুটি ধাপ পার হতে হয়েছে। প্রথম ধাপে গাড়ির সকল নকশা, দ্বিতীয় ধাপে সকল পরিকল্পনা, সকল ফিচারের খুঁটিনাটি। এখন তৃতীয় ধাপে পূর্ণাঙ্গ গাড়ী তৌরির পালা।
যেহেতু জ্বালানি সাশ্রয়ের গাড়ী তৈরি করতে হবে, তাই গাড়ীর জ্বালানি সাশ্রয় বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু ফিচার রয়েছে। যেমন, গাড়ীর ওজন কম রাখতে হবে। গাড়ির বডি তৈরি হবে পাট দিয়ে।
পাট দিয়ে গাড়ী তৌরির জন্য বাংলাদেশ পরমানু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমেদ খানের সঙ্গে কাজ করছে বুয়েটের প্রতিনিধি দল।
এছাড়া গাড়ীতে পাটের ব্যাবহারের মাধ্যমে দেশের সোনালি আঁশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হবে। বুয়েট শিক্ষার্থীরা বাতাসের বাধা কমানোর জন্য গাড়ীর বডি ডিজাইন এমন ভাবে করছেন যাতে বাতাসে বাধা কম হয়। ইঞ্জিনেও বেশকিছু পরিবর্তন আনা হবে।
সাধারণ সিস্টেমের পরিবর্তে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে প্রেসারাইজড ফুয়েল সিস্টেম ব্যাবহার করা হবে, যাতে প্রতি ফোটা তেলের সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়। গাড়ীর স্টিয়ারিং সিস্টেম ডিজাইন করা হয়েছে এমনভাবে যা প্রতিযোগিতার জন্য ভাল ফলাফল দিতে সক্ষম হবে। গাড়ী চালকের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে সকলপ্রকার নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।
বুয়েটের এই টিমের সদস্যরা হলেন, মো. তুরাস হক পিয়াল, প্রিতম বসু, অলিউর রহমান, সাবরিল রহমান, ইমরান হাসান, শাহরিয়ার নাহিয়ান ও মইনুল হাসান। এরা সবাই যন্ত্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এই টিমের সদস্য তুরাস হক পিয়াল বলেন, ‘আমরা এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বের কাছে যেন আমাদের দেশকে উপস্থাপন করতে পারি। বুয়েটকে এনে দিতে পারি সাফল্য’।
গাড়ী তৈরির ব্যপারে তিনি বলেন, ‘পাট দিয়ে গাড়ীটি তৈরি করা হবে এই প্রথমবারের মতো। আমরা আশাবাদি জ্বালানী সাশ্রয়ী হবে আমাদের এই গাড়ী’।
টিমের সুপারভাইজার হিসেবে আছেন বুয়েটের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. মনন মাহবুব। এবারের শেল ইক-মারাথন অনুষ্ঠিত হবে ফিলিপাইনের ম্যানিলায়। অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ৩ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস