বাঙালিকে এনে দিয়েছেন লাল-সবুজের পতাকা। দিয়েছেন স্বাধীনতার স্বাদ। ৫১ বছর বয়সে বজ্রকণ্ঠে বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বাঙালির সেই অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী আজ।
বাবা-মায়ের আদরের 'খোকা' একটি পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে হয়ে ওঠেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
উত্তাল ৭১-এর সাতই মার্চ বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করা এই মানুষটি জন্মেছিলেন ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। নিভৃত সেই পল্লীর কাঁদা জলেই তাঁর বেড়ে ওঠা।
শৈশব থেকেই তার মধ্যে ছিলো মানবিকতা, সাহস ও নেতৃত্ব গুণ। শিশুদের ভালোবাসতেন বলে তাঁর জন্মদিনেই পালন হয় শিশু দিবস।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়, বাড়ি গেলে উৎসবমুখর হয়ে উঠত উঠোন।
স্কুলজীবনেই সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন শেখ মুজিবুর রহমান। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের যোগ দিয়ে যখন প্রথম জেলে যান, তখন তিনি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। ১৯৪৮ সালে গঠন করেন ছাত্রলীগ। ১৯৪৯-এর ২৩ জুন হন আওয়ামী মুসলীম লীগের যুগ্ম সম্পাদক। তারপর বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে বাঙালির স্বাধীকার ও মুক্তি সংগ্রামে নিজের জীবন বাজি রেখে স্বাধীন করেছেন বাংলাদেশকে।
উনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানে শেখ মুজিবকে কারামুক্ত করে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধি ভূষিত করে বাঙালি। এরপর স্বাধীনতার ডাক, মুক্তিযুদ্ধ, বিজয় ও স্বাধীন বাংলাদেশ সবকিছুর সঙ্গে মিশে আছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS